Friday, August 10, 2018

বিস্ময়কর মহাবিশ্বের ৭ টি অজানা তথ্য

সুবিশাল এই মহাবিশ্বের খুবই ক্ষুদ্র একটি অংশ জুড়ে আমাদের বসবাস। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অসাধারণ উন্নতির পরেও তাই এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অধিকাংশই আমাদের কাছে রহস্যে ঘেরা। মহাবিশ্বের এই রহস্যগুলো নিয়ে নিশ্চয়ই আমাদের কারোই আগ্রহের কোনো কমতি নেই। তাই দেরি না করে ঝটপট দেখে ফেলি এমন জানা-অজানা সাতটি ঘটনা।

১। মহাশূন্যের গন্ধটা কেমন?
কখনো কি মাথায় প্রশ্ন জেগেছে, এই যে মহাশূন্য, তার ঘ্রাণ কেমন? কতিপয় কৌতুহলী মানুষের মনে কিন্তু ঠিকই এই প্রশ্ন জেগেছে! আর তারা বিভিন্ন মহাকাশচারীদের অভিজ্ঞতা শোনার পর এর উত্তর বের করেছেন।
আমরা প্রায় সবাই ওয়েল্ডিঙের কাজের সাথে পরিচিত, তাই না? জ্বী, হ্যাঁ। ওয়েল্ডিঙের কাজের সময় এর আশেপাশে থাকলে যে ঘ্রাণ পাওয়া যায়, মহাশূন্য বা স্পেসের গন্ধটা ঠিক অমন।


২। উত্তপ্ত বরফ
পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৩ আলোকবর্ষ দূরে একটা গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা যার পুরো পৃষ্ঠটাই নাকি “Burning Ice” এ আবৃত! খটকা লাগছে? আসল ঘটনাটা হচ্ছে, এই গ্রহের পৃষ্ঠে প্রচণ্ড চাপের কারণে পানি কঠিন অবস্থায় রূপান্তরিত হয়েছে, আর গ্রহ পৃষ্ঠে তাপমাত্রা অনেক বেশি বলে এই জমাট বরফ থেকে বাষ্প নির্গত হয়। তাই বিজ্ঞানীরা একে বলছেন “Burning Ice”।

৩। পৃথিবীও হতে পারে ব্ল্যাকহোল
আমরা যে সুন্দর পৃথিবীতে বাস করছি, তাও কিন্তু একটা ব্ল্যাকহোলে পরিণত হতে পারে। তবে এর আগে পৃথিবীকে বেশ শক্ত কিছু নিয়ম মানতে হবে। তারই মধ্যে একটি হলো পৃথিবীর নিজেকে কোনোভাবে মিনিমাইজ করে একটা মার্বেলের আকারে পরিণত করতে হবে।

৪। মহাকাশে পানি ফোটানো
সচরাচর পানি ফুটানোর সময় আমরা কী দেখি? বুদবুদ আকারে অনেকগুলো পানির ফোঁটা পাত্রের উপরের দিকে উঠে এসেছে। কিন্তু কেউ যদি মহাকাশে যেয়ে কোনোভাবে পানি ফোটানোর চেষ্টা করে, তাহলে কিন্তু এ ঘটনা ঘটবে না। অনেকগুলোর পরিবর্তে একটামাত্র দানবাকৃতির বুদবুদ উঠে আসবে।

৫। মৃত নক্ষত্র
রাতের পরিষ্কার আকাশে আমরা যে অসংখ্য নক্ষত্র দেখি, তাদের অনেকেই হয়তো মৃত। আলো বিকিরণ করতে করতে, ধীরে ধীরে তারা নিঃশেষ হয়ে গেছে। কিন্তু যদি তারা মৃতই হয়, রাতের আকাশে তাদের দেখি কীভাবে আমরা?

৬। হারিয়ে যাওয়া মহাবিশ্ব
এই যে মহাবিশ্বের বিশালতা নিয়ে আমরা কথা বলছি, মহাবিশ্ব কিন্তু তার চেয়েও বিশাল! বিজ্ঞানীদের মতে মহাবিশ্বের প্রায় শতকরা ৭৫ ভাগই ডার্ক ম্যাটার এবং ডার্ক এনার্জি রূপে আছে। আমাদের এই মহাবিশ্ব কিন্তু সম্প্রসারণশীল।

৭। যেখানে শুরু সেখানেই শেষ
কেউ কখনোই মহাবিশ্বের একদম শেষ প্রান্তে চলে যেতে পারবে না। তাই কারো মনে যদি শখ জাগে যে মহাবিশ্বের শেষ মাথায় কী আছে তা দেখার, তার সে আশায় গুঁড়ে বালি। যদি কখনো কেউ এই মহাবিশ্বের একটা নির্দিষ্ট স্থান থেকে সরলরেখা বরাবর হাঁটতে থাকে, তবে অনন্তকাল হাঁটার পর সে আবার তার শুরুর জায়গাতেই ফেরত আসবে।




Sunday, August 5, 2018

মৃত মানুষের দেহ থেকে স্যুপ তৈরি করে খাওয়ার রীতি

প্রাচীন পৃথিবীর অমীমাংসিত কিছু মৃত্যু-রহস্য


প্রাচীন পৃথিবীর নানা রহস্যের সন্ধানে সদা তৎপর থাকেন বিশ্বের নানা প্রান্তের প্রত্নতত্ত্ববিদগণ। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই আমরা জানতে পারি ইতিহাসের নানা বিস্ময়কর তথ্য, সমৃদ্ধ করতে পারি আমাদের জ্ঞান ভান্ডার। মৃতদেহের কথাই ধরা যাক। প্রাচীন সভ্যতার সন্ধানে থাকাকালে বিভিন্ন সময়ই প্রত্নতত্ত্ববিদেরা এমন কিছু মৃতদেহের সন্ধান পেয়েছেন যাদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করা সম্ভব হয় নি আজও। বরং বিভিন্ন সময় এমন সব তথ্য উদঘাটিত হয়েছে, যা জেনে পিলে চমকে গেছে অনেকেরই। প্রাচীন পৃথিবীর এমনই কিছু অমীমাংসিত মৃত্যু-রহস্যের ইতিহাস নিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের পুরো লেখা।

১. শূলবিদ্ধ খুলি

২০০৯ সালের কথা। একদল প্রত্নতত্ত্ববিদ সুইডেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মোটালায় প্রায় ৮,০০০ বছরের পুরনো একটি বসতি খুঁজে পান যার নাম দেয়া হয় কানালজর্ডেন। সেখানেই একটি অগভীর লেকের তলদেশে তারা পাথর চাপা দেয়া এক গণকবরের সন্ধান পান। কবরটিতে ১১টি খুলি ও খুলির অংশবিশেষ পাওয়া গিয়েছিলো। আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো, এ খুলিগুলোর মাঝে দুটি কাঠের শূলে আটকানো ছিলো। অন্যগুলোর অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিলো যে, সেগুলোরও বুঝি একই দশা হয়েছিলো।

আজও প্রত্নতত্ত্ববিদেরা জানতে পারেন নি সেই দুর্ভাগাদের আসল পরিচয় আর কেনই বা তাদেরকে এভাবে কবর দেয়া হয়েছিলো। এমনকি এক মহিলার খুলির ভেতর আরেক মহিলার খুলির অংশবিশেষ কীভাবে এসেছিলো সেই রহস্যেরও কোনো কূলকিনারা করতে পারেন নি তারা।

অবশ্য এ পরিস্থিতি ব্যাখ্যার জন্য বিজ্ঞানীগণ দুটি তত্ত্ব দাঁড় করিয়েছেন। এগুলোর পক্ষে কোনো সুস্পষ্ট প্রমাণ অবশ্য তাদের হাতে নেই।
১) হয়তো মাংস পচে যাবার পর মৃতদের আবার তোলা হয়েছিলো। তারপর শূলে খুলিগুলো গেঁথে তাদের দ্বিতীয়বার কবর দেয়া হয়। সুইডেনে খুঁজে পাওয়া আরেকটি মেসোলিথিক স্থানে এমন চর্চা এককালে প্রচলিত ছিলো।
২) হয়তো কোনো যুদ্ধে শত্রুর হাতে নিহত হয়েছিলেন তারা। পরে তাদের খুলিগুলো শূলে গেঁথে নিয়ে আসা হয়েছিলো স্মারক হিসেবে।

২. রাজা তুতেনখামুনের মৃত্যু1

১৩৩২-১৩২৩ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত মিশরের ফারাও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তুতেনখামুন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে ১৩২৩ খ্রিষ্টাব্দে মারা যান তিনি। তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিয়ে রহস্যের কোনো সমাধান হয় নি আজও।
কখনো দাবি করা হয়েছে রথ দুর্ঘটনা, জলহস্তীর আক্রমণ কিংবা ঘোড়ার লাথি খেয়ে মৃত্যু হয়েছে রাজা তুতের। তার শরীরে থাকা আঘাতের চিহ্নগুলো দেখেই প্রত্নতাত্ত্বিকেরা এ ধারণাগুলো করেছিলেন। তবে পরবর্তীতে বেশ কয়েকজন গবেষক এ ধারণাকে নাকচ করে দেন। তাদের মতে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যখন রাজার কবরটি অরক্ষিত অবস্থায় ছিলো, তখন তার কবরে চুরি হয়। চোরেরা তার শরীর থেকে মূল্যবান গয়না নিতে গিয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার মমি। আর রাজা তুতের রথে চড়ার ব্যাপারটাও নাকচ করে দেয়া হয়েছে। কারণ জন্ম থেকেই তার পা কিছুটা বাঁকা ছিলো। ফলে অন্যের সাহায্য ছাড়া দাঁড়ানোই ছিলো তার জন্য কষ্টকর, রথ চালনা করা তো আরো দূরের কথা!

কারো কারো মতে আবার তুতেনখামুনকে হত্যা করা হয়েছিলো। ২০০৫ সালে করা এক সিটি স্ক্যান থেকে জানা যায় যে, মৃত্যুর কিছু সময় আগে তার বাম পা ভেঙে গিয়েছিলো। ২০১০ সালে পরিচালিত এক ডিএনএ টেস্টে তার শরীরে ম্যালারিয়ার জীবাণুর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। এ থেকে ধারণা করা হয় যে, ম্যালেরিয়া ও কোহ্‌লার রোগে ভুগে মারা যান তুতেনখামুন।

২০১০ সালের জুনে একদল জার্মান গবেষক রাজার মৃত্যুর কারণ হিসেবে সিক্‌ল-সেল রোগকে দায়ী করেন। একসময় মনে করা হতো যে, তাকে হয়তো মাথায় আঘাত করে খুন করা হয়েছে। ২০০৫ সালের এক গবেষণা থেকে এ ধারণাটি ভুল বলে প্রমাণিত হয়। পরবর্তীতে গবেষকরা সিটি স্ক্যান ইমেজ পরীক্ষা করে সিদ্ধান্তে পৌঁছেন যে, তুতেনখামুনের বাবা-মা ছিলেন আপন ভাই-বোন! বাবা-মায়ের কাছ থেকে পাওয়া কোনো জেনেটিক ত্রুটিকেও তার শারীরিক দুর্বলতার জন্য দায়ী করা হয়ে থাকে।

এছাড়াও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রোগকে তুতেনখামুনের মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয়েছে। এর মাঝে রয়েছে মার্‌ফান সিনড্রোম, এক্স-লিঙ্কড মেন্টাল রিটার্ডেশন সিনড্রোম, ফ্রহ্‌লিখ সিন্‌ড্রোম, ক্লাইনফেল্টার সিনড্রোম, এন্ড্রোজেন ইনসেন্সিটিভিটি সিনড্রোম, অ্যান্টলে-বিক্সলার সিনড্রোম, অ্যারোমাটাজ এক্সেস সিনড্রোম ও ক্রেনিওসিনোস্টোসিস সিনড্রোম এবং টেম্পোরাল লোব এপিলেপ্সি।

পৃথিবীর বিস্ময়কর কিছু সত্য ঘটনা এবং মজার সব তথ্য

মাদাম তুসোর জাদুঘর


জাদুঘরে রক্ষিত মোমের মূর্তিগুলোর মাথায় প্রতিটি চুল পৃথকভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়। একটি মূর্তির মাথায় চুল প্রতিস্থাপন করতে প্রায় পাঁচ সপ্তাহ সময় লাগে।
 জাদুঘর খোলার আগে প্রতিদিন দুটি রক্ষণাবেক্ষণ দল মূর্তিগুলো দেখভাল ও পরিপাটি করে।
 একজন ব্যক্তিত্বের মূর্তি বানানো সম্পূর্ণ করতে প্রায় চার মাস সময় লাগে।
 মোমের মূর্তি বানাতে প্রায় আড়াই শ বার শরীরের মাপ নিতে হয় এবং বিভিন্ন কোণ থেকে প্রায় ১৮০টি ছবি তুলতে হয়। এ ক্ষেত্রে যদি ওই ব্যক্তিত্ব অনুপস্থিত থাকেন, তবে জাদুঘরের স্টুডিও ভাস্কর তাঁর কয়েক শ ছবি বা ভিডিও পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করে এটি বানান।
 মিডিয়া ও দর্শকদের অনেক অনুরোধ সত্ত্বেও জাদুঘর কর্তৃপক্ষ সেলিব্রেটিদের শরীরের মাপ প্রকাশ করে না।
 মোম ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়, তাই মোমের মূর্তি সেলিব্রেটির শরীর থেকে প্রায় দুই শতাংশ বড় করে বানানো হয়।
 লাল সিল্কের সুতা দিয়ে মূর্তিগুলোর অক্ষিগোলকের শিরা বানানো হয়।
 পরিচর্যার অংশ হিসেবে প্রায় নিয়মিত মূর্তিগুলোর চুল ধোয়া ও মেকআপ করা হয়।



ষাঁড়ের দৌড় উৎসব
স্পেনের পাম্পলোনা শহরে ষাঁড়ের দৌড় উৎসব হলো স্পেন এবং পুরো বিশ্বের এক আলোচিত ঘটনা। ১৯১১ সাল থেকে চলে আসছে ষাঁড় আর মানুষের মধ্যে শক্তি পরীক্ষার এ বিপজ্জনক লড়াই আর অ্যাডভেঞ্চারের উৎসব। শুধু স্পেনের মানুষই নয়, এ উৎসবে যোগ দিতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অ্যাডভেঞ্চার বিলাসীরা প্রতিবছর পাম্পলোনায় এসে জড়ো হন। স্পেনের এ উৎসব যথেষ্ট হইচইয়ে ভরা। চলে জুলাইয়ের সপ্তাহজুড়ে। সারারাত পানভোজনের পর সকাল...বেলায় তাগড়া চেহারার ষাঁড়দের খেপিয়ে দিয়ে তাদের আগে-পরে দৌড়। এরপর সেই ষাঁড়দের লড়াইয়ের অ্যারিনার মধ্যে টেনে এনে সেখানে ম্যাটাডোরের লড়াই। এই হচ্ছে মোটের ওপর উৎসবের চেহারা। এ পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এ বিপজ্জনক খেলায়। প্রতিবছরেই ষাঁড়ের দৌড়ের বার্ষিক উৎসবে দু-চারজন করে আহত হয় স্পেনের পাম্পলোনা শহরে। কিন্তু তাতে মানুষের উৎসাহে তেমন ভাটা পড়েনি, বরং দিনদিন বেড়ে চলছে এর জনপ্রিয়তা।


জার্মানির মেগদেবারগ ওয়াটার ব্রিজ
নিচের ছবিতে যেই ব্রিজটি দেখছেন তা হচ্ছে জার্মানির মেগদেবারগ ওয়াটার ব্রিজ।। একটি নদী আরেকটি নদীকে ক্রস করাতে এই পানির ব্রিজটি তৈরি করা হয়।। জার্মানীর এলবি নদীর উপর অবস্থিত এই ব্রিজটি জার্মানীর ২টি গুরুত্বপূর্ণ শিপিং ক্যানেল এলবি-হ্যাভেল ক্যানেল এবং মিডল্যান্ড ক্যানেলকে সংযুক্ত করেছে।। ৯১৮ মিটার লম্বা এই ব্রিজটি তৈরিতে খরচ হয়েছে মোট ৫০০ মিলিয়ন ইউরো।। ১৯৯৭ সালে এর নির্মান কাজ শুরু হয় আর শেষ হয় ২০০৩ সালে, অর্থাৎ মোট সময় লাগে ৬ বছর।।

পৃথিবীর রহস্যময় কিছু পাথর

পৃথিবীতে আছে অনেক রহস্যময় জায়গা। অদ্ভুত অনেক কিছুই আছে যেগুলো আমাদের এখনও অজানা। এর পাশাপাশি বিশ্বের কয়েকটি দেশে অদ্ভুত কিছু পাথরের সন্ধান পাওয়া যায়। যেগুলো খুবই আশ্চর্যজনক। কেউ কেউ সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ঘটনাকে অলৌকিক ঘটনা মনে করে প্রার্থনা করে থাকে তেমনি আবার কেউ সৃষ্টিকর্তার অলৌকিক ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ মনে করে। প্রাকৃতিকভাবে কোনো কোনো এলাকায় পাথর খণ্ড এমনভাবে ভারসাম্য বজায় রেখে দাঁড়িয়ে আছে যা দেখলে বিশ্বাসই হয় না এভাবে বিশাল কোনো পাথর খণ্ড স্থিতিশীল থাকতে পারে। কোনো কোনো পাথরের আকৃতি মাশরুম, এমনকি জুতার মতো। অনেক পাথর হেঁটে চলে। ভাসমান এক পাথরের কথাও শোনা যায়।
আইডল রক, ইংল্যান্ড: ইংল্যান্ডের উত্তর ইয়র্কশায়ের ব্রিমহাম মুরে এই জাতীয় পাথর দেখা যায়। এদের একটি হলো আইডল রক। ছোট্ট একটি পাথরের ওপর কোনো এক দৈব শক্তির মাধ্যমে দাঁড়িয়ে আছে এটি।
ব্যালান্সড রক, যুক্তরাষ্ট্র: আমেরিকার উদাহ প্রদেশের আরচেস ন্যাশনাল পার্কের প্রবেশ পথ থেকে ৯ মাইল ভেতরে এই পাথরটি ৩৯ মিটার দীর্ঘ। নিচের পাথরটির উপর যে পাথরটি অদ্ভুতভাবে ভারসাম্য বজায় রেখে দাঁড়িয়ে আছে, তার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৭ মিটার।
ব্যালেন্সিং রক, কানাডা: কানাডার নোভা স্কশিয়া প্রদেশে লং আইল্যান্ডের সেইন্ট ম্যারি’স বে তে আছে এই পাথরটি। দেখুন কী অদ্ভুত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে! ৯ মিটার লম্বা এই পাথরটি আরেকটি পাথরের প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে অস্বাভাবিকভাবে।
মাশরুম রক, যুক্তরাষ্ট্র: আমেরিকার কানসাসে মাশরুম রক স্টেট পার্কে অনেকগুলো পাথরের মধ্যে আছে মাশরুম আকৃতির দুটি পাথর। সেগুলোর পাশে  বিশাল জুতার আকৃতির আরেকটি পাথর আছে। অদ্ভুত দেখতে তাই না?
ভাসমান পাথর, সৌদি আরব: সৌদি আরবের আল হাসা এলাকায় একটি অদ্ভুত পাথর আছে। এটি নাকি বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে হাওয়ায় ভেসে থাকতে পারে! প্রতি বছর এপ্রিল মাসে পাথরটি মাটি থেকে ১১ সেন্টিমিটার উপরে ৩০ মিনিট ধরে ভেসে থাকে, এমন কথা বলছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি ১৯৮৯ সালের এপ্রিলে পুলিশের গুলিতে এক মুজাহিদ শহীদ হন এই পাথরের সামনে। এর পর থেকে এমন ব্যাখ্যাতীতভাবে নাকি ভাসে পাথরটি।
ব্যালান্সড রক, যুক্তরাষ্ট্র: আমেরিকাতেই কলোরাডোর গার্ডেন অব গডসে আছে এই অদ্ভুত পাথরটি। রাস্তার পাশেই আছে বলে পর্যটকরা সহজেই এর পাশে গিয়ে ছবি তোলেন।
হেঁটে চলা পাথর, যুক্তরাষ্ট্র: কখনো শুনেছেন পাথর একা একা পথ চলতে পারে? এমন ঘটনা দেখা যায় নেভাদার লিটল বোনি ক্লেইয়ার প্লায়ায়। বিশেষ করে ক্যালিফোর্নিয়ার ড্যাথ ভেলি ন্যাশনাল পার্কের রেস ট্রেক প্লায়াতে এ ধরনের চলমান পাথর দেখা যায় বেশি। সে পাথরগুলোর পেছনে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার দাগ থাকে। কাদা বা বরফের কারণে পিছলে অথবা প্রচণ্ড বাতাসে এসব পাথর এগিয়ে চলে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আসল তথ্য এখনো অজানা।
চিরেম্বা রকস, জিম্বাবুয়ে: জিম্বাবুয়ের রাজধানী  হারারের ১৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে আছে এই পাথরগুলো। দেশটির মুদ্রায় এই পাথরগুলোকে তুলে ধরায় বাইরের মানুষ এখন এদের সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
কেজেরাগবোল্টেন, নরওয়ে:  প্রায় ১৫ বর্গফুট আয়তনের কেজেরাগবোল্টেন পাথর খণ্ডটি নরওয়ের কেজেরাগ পর্বতের দু’টি বিশাল পাথরের মাঝখানে আটকে আছে। মাটি  থেকে প্রায় ৩০০০ ফুট উপরে আছে এই পাথরটি। সেখানে দাঁড়াতে হলে অবশ্যই অনেক সাহসী হতে হবে।

Friday, July 27, 2018

শিশুকে কবর দেয়ার সময় আজব ঘটনা

পিএনএস ডেস্ক : মাত্র একদিনের শিশুকে কবর দেওয়া হচ্ছে। তখনই ঘটল আজব ঘটনা। কিছুটা নড়ে উঠে শিশু চোখ খুলল। ব্যাপারটা তখনও বুঝতে পারা যায়নি। এরপর সেই সদ্যোজাত চেঁচিয়ে উঠে কাঁদতে শুরু করে।

তত্ক্ষণাত্ শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে তার পরিবার। এই হাসপাতালের এক ডাক্তারই শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেছিল।

ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী জেলায়। এখন তাকে আবার আইসিইউতে রাখা হয়। শিশুটির শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল।

গতকাল রবিবার কল্পনা নামের এক রমনী জন্ম দেয় শিশুটির। কল্পনার শিশুকে পাঠানো হয় আইসিইউ-তে। ক্রমশই শরীর খারাপ হয়ে যাচ্ছিল শিশুটির। এরপর ডাক্তররা বিশেষ নজর দিতে থাকে সেই শিশুটির। শেষে আজ সোমবার ডাক্তাররা জানান শিশুটি মারা গেছে।

আজব ঘটনা – মৃত মায়ের গর্ভ থেকে ১২৩ দিন পর দুই সন্তানের জন্ম স্টাফ রিপোর্টার নভেম্বর ১৭, ২০১৭

দুই সন্তানের জন্ম – ‘সেরিব্রাল হেমারেজে’ আক্রান্ত হয়ে ২১ বছর বয়সী জাম্পোলি পেডিলহা যে মূহুর্তে মারা যান তখন তিনি নয় সপ্তাহের গর্ভাবতী। তবে মায়ের মৃত্যু হলেও ডাক্তারদের আপ্রাণ চেষ্টায় ১২৩ দিন মায়ের গর্ভেই বেঁচে থাকে দুই সন্তানকে। পৃথিবীর আলোও দেখে ওই দুই শিশু। কল্পকাহিনীর মতো এ ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলে।
গত বছরের অক্টোবরে সেরিব্রাল হেমারেজ হয়ে মস্তিষ্কের মৃত্যু হয় ফ্রাঙ্কলিনের পেডিলার। সেই সময় গর্ভের যমজ সন্তানের বয়স মাত্র নয় সপ্তাহ (দুই মাস)। স্ত্রীকে হারালেও ফ্রাঙ্কলিনের স্বামী অদম্য মুরিয়েল পেডিলহা হার মানতে চাননি। দুই সন্তান যে তখনো বেড়ে উঠছে গর্ভে। মা হতে চলা স্ত্রীকে কৃত্রিমভাবে বাঁচিয়ে রাখতে চিকিৎসকদের অনুরোধ করেন ২৪ বছর বয়সী মুরিয়েল। চিকিৎসকেরাও নিরাশ করেননি। এরপর ১২৩ দিন মায়ের গর্ভেই বেড়ে ওঠে শিশু দুটি। চিকিৎসক ডালটন রিভাবেমের নেতৃত্বে হাসপাতালের নিউরোলজিক্যাল নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চলতে থাকে ফ্রাঙ্কলিন পেডিলার চিকিৎসা, শুশ্রূষা। গর্ভে নিশ্চিন্তে শিশু দুটি বেড়ে ওঠার জন্য যা যা করা দরকার নস্যে সেনহোরা ডি রোকিও হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্তৃপক্ষ তা–ই করেছে।
বিশেষ প্রক্রিয়ায় শিশুদের সরবরাহ করা হয় খাবার ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে সাত মাসের গর্ভাবস্থায় অস্ত্রোপচারে জন্ম হয় শিশু দুটির। জন্মের সময় বোন অ্যানা ভিক্টোরিয়ার ওজন ছিল ১ কেজি ৪০০ গ্রাম আর ভাই আসাফের ১ কেজি ৩০০ গ্রাম। দুই মাসের চিকিৎসার পর মে মাসের দিকে সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরে যায় অ্যানা ও আসাফ। ভেন্টিলেশন থেকে বের করে ফ্রাঙ্কলিন পেডিলার কিডনি আর হৃৎপিণ্ড দান করা হয়। এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল প্রায় পুরো ব্রাজিল। ওই দম্পতির ইসা বিয়েট্রিস নামে দুই বছর বয়সী আরও একটি মেয়েশিশু রয়েছে।
গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুরিয়েল বলেন, “পেডিলার যখন সেরিব্রাল হেমারেজে (মস্তিষ্কের মৃত্যু) আক্রান্ত হয়, তখন আমি বাগানে গাছের পরিচর্যা করছিলাম। পেডিলা ফোনে জানায়, ওর মাথা অসহ্য যন্ত্রণায় ছিঁড়ে যাচ্ছে। এখনই পড়ে যাবে। আমি যেন বাড়ি ফিরে আসি। দ্রুত বাড়ি ফিরে পেডিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকেরা জানান, মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তিন দিন ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অবশেষে জানানো হয়, আমার স্ত্রীর মস্তিষ্কের মৃত্যু হয়েছে। শিশু দুটির আশা চিকিৎসকেরা ছেড়েই দিয়েছিলেন। মুরিয়েলের কাতর অনুরোধে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে চমকে ওঠেন চিকিৎসকেরা। কারণ, তখনো বেঁচে রয়েছে ভ্রূণ দুটি। মুরিয়েলের অনুরোধে তখনই চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নেন শিশুদের বাঁচাতে করণীয় সব করা হবে।”
বাবা মুরিয়েল এ ঘটনাকে ‘অলৌকিক ঘটনা’ বলে বর্ণনা করেছেন।