ভানগড়ের রাজকন্যার মন জয় করতে চেয়েছিলেন এক তান্ত্রিক। রাজকন্যার মন জয় করতে না পারায় মৃত্যুর আগে সেই তান্ত্রিক গোটা গ্রামকে অভিশপ্ত করে গিয়েছিল। অভিশাপ দিয়েছিল এই গ্রাম ধ্বংস হয়ে যাবে। এই গ্রামের মানুষ কখনও শান্তিতে থাকতে পারবে না। এরপরই এই ভানগড় দূর্গে মুঘলরা আক্রমণ করে। রাজকন্যা সহ প্রায় ১০,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়। মানুষের ধারণা তান্ত্রিকের অভিশাপের ফলেই এই ঘটনা ঘটেছিল। আর তার পর থেকেই এই দূর্গে অলৌকিক শক্তির আনাগোনা রয়েছে বলেই ধারণা মানুষের। এই অলৌকিক আত্মা তান্ত্রিক ও রাজকন্যার বলেই মনে করা হয়।
ভয়ঙ্কর ভৌতিক স্থান যেখানে গেলে ভয়ে কাঁপবেন !
প্রকাশঃ জুলাই ১৬, ২০১৭
মো. সবুজ খান ।।
ভূত শব্দটি শুনলেই আমাদের মনে একটা অদ্ভুত আতঙ্ক ও ভয় কাজ করে। ভূত আছে কি নেই এ নিয়ে পৃথিবীতে রয়েছে হাজার দ্বন্দ্ব ও মতভেদ। অনেকেই বলেন ভূত আছে এবং অনেকেই ভূত স্বচক্ষে দেখেছেন বলেও দাবি করেন। আবার অনেকেই এটাকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দেয়। পৃথিবীর এমন কনো দেশ নেই যেখানে ভূত শব্দটার সাথে লোকের পরিচিতি নেই। এমনকি বাংলা সাহিত্য থেকে শুরু করে পৃথিবীর অনেক দেশের সাহিত্যে ভূত নিয়ে লেখালেখি হয়েছে। তবে ভূত আছে কি নেই এ নিয়ে মতভেদ থাকলেও একথা সত্য যে ভূত নিয়ে মানুষের ইতিহাস হাজার বছরের। আপনি যতই সাহসী হোন না কেন পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে গেলে একজন অত্যাধিক সাহসী মানুষের গায়েও কাটা দিয়ে ওঠে, ভয়ে শিহরিত হয়ে যায় পুরো শরীর। তেমনি ১০ টি যায়গার সাথে আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব।
ভানগড় দূর্গ, রাজস্থান:
ভানগড়ের রাজকন্যার মন জয় করতে চেয়েছিলেন এক তান্ত্রিক। রাজকন্যার মন জয় করতে না পারায় মৃত্যুর আগে সেই তান্ত্রিক গোটা গ্রামকে অভিশপ্ত করে গিয়েছিল। অভিশাপ দিয়েছিল এই গ্রাম ধ্বংস হয়ে যাবে। এই গ্রামের মানুষ কখনও শান্তিতে থাকতে পারবে না। এরপরই এই ভানগড় দূর্গে মুঘলরা আক্রমণ করে। রাজকন্যা সহ প্রায় ১০,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়। মানুষের ধারণা তান্ত্রিকের অভিশাপের ফলেই এই ঘটনা ঘটেছিল। আর তার পর থেকেই এই দূর্গে অলৌকিক শক্তির আনাগোনা রয়েছে বলেই ধারণা মানুষের। এই অলৌকিক আত্মা তান্ত্রিক ও রাজকন্যার বলেই মনে করা হয়।
হাইগেট শ্মশান, ইংল্যান্ড:
১৮৩৯ সালে এই হাইগেট নামক শ্মশানটি তৈরি হয়। এই শ্মশানটি লন্ডনের সবচেয়ে ভৌতিক জায়গা বলে পরিচিত। লোকমুখে শোনা যায়, এই শ্মশানটিতে প্রায়ই এক মহিলার ছায়া দেখা যায়। গভির রাতে শ্মশানটিতে সেই ছায়াকে দৌড়তে দেখা যায়, খুন হতে দেখা যায়। এছাড়াও লম্বা এক ব্যক্তিকে ওভারকোট পড়ে এই এলাকায় ঘুরতে দেখা যায়। লোকজনের কাছে লম্বা লোকট ড্রাকুলা নামে পরিচিত।
পুরানো চাঙ্গি হাসপাতাল, সিঙ্গাপুর:
১৯৩৫ সালে এই হাসপাতালটি তৈরি করা হয়েছিল। পরে জাপানিরা এই হাসপাতালটি অধিগ্রহণ করে নেয়। যুদ্ধবন্দীদের জন্য এই হাসপাতালে একটি গোপন ঘর রাখা হয়েছিল, যেখানে তাদের উপর অত্যাচার চালানো হত। ১৯৯৭ সালে এই হাসপাতালকে নতুন করে মেরামত করে চেঙ্গি হাসপাতালে পরিণত করা হয়। কিন্তু পীড়িতদের আত্মা এখনও শান্তি পায়নি। এখনও হাসপাতালে মানুষের চিৎকারের শব্দ, দরজায় মাথা ঠোকার শব্দ শুনতে পাওয়া যায়।