Friday, July 27, 2018

পৃথিবীর ৪ টি সবচেয়ে রহস্যময় স্থান

অস্ট্রিপশন পর্বতমালা ফিনিক্সের পূর্ব এরিয়ায় অবস্থিত এই রহস্যময় জায়গাটি । 1800 এর কাহিনী অনুযায়ী, সেখানে একটি জার্মান অধিবাসী বাস করত, যার নাম ছিল জ্যাকব ওয়াল্টস। এই জায়গাতে তিনি পাহাড়ের ভিতরে একটি সোনার খনি আবিষ্কার করেছিল। কিন্তু বলা হয়েছে যে তিনি কখনোই কারো সঙ্গে এই পাহাড়ের সম্পর্কে আলোচনা করেননি, পরবর্তী কালে এই জায়গায় বহুবার অভিযান করা হয়েছে কিন্তু সোনার খনি কখনোই পাওয়া যায় নি। স্থানীয় লোকজন বলে যে সোনার খনি অনুসন্ধানে যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের আত্মা পাহাড়টিতে ঘুরে বেড়ায় এবং সোনার খনির পাহারা দেয়।

মিশিগান ত্রিভুজটি লেইকি মিশিগানের মাঝখানে অবস্থিত এবং এটি ভৌগলিক ত্রিভুজগুলির একটি। এই জায়গাটির রহস্যময় স্থান হিসাবে সারা বিশ্বে পরিচিত, এই রহস্যময় জায়গাটিকে জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন বিমান ও সমুদ্রিক জাহাজের রহস্যজনক অন্তর্ধানের গল্প। এই স্থানটির সাথে সম্পর্কিত, সবচেয়ে বিখ্যাত গল্প নর্থওয়েপ এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ২৫০১এর, যা ২৩ শে জুন, ২৩ তারিখে ক্র্যাশ করা হয়েছিল। এই বিমানটি ৫৮ ​​জন যাত্রী নিয়ে, মধ্যরাতে খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে লেক মিশিগানের উপর দিয়ে উড়ছিল। বিমানটি কোনও বিশেষ কারণ ছাড়াই হ্রদে পড়ে গিয়েছিল, যদিও পরবর্তীতে বিমানটি ভাল অবস্থায় পরে পাওয়া গিয়েছিল কিন্তু কোনও মানুষের দেহাবশেষ পাওয়া যায়নি।
লেক অজিকুনি কানাডায় অবস্থিত । জো লেবেল নামে একজন ব্যক্তি 1930 সালে রিপোর্ট করেন যে, হ্রদটির কাছাকাছি, যে একটি বিচ্ছিন্ন গ্রাম ছিল সেখানে কোন গ্রামবাসীকে দেখা যাচ্ছে না, এমনকি কোনো পোষা প্রাণীও দেখা যাচ্ছে না। তারপর তিনি তন্ন-তন্ন করে অনুসন্ধান করেছিলেন, কিন্তু তিনি কাউকেই খুঁজে পাননি। তিনি দেখাছিলেন সেই গ্রামে সমস্ত ঘর এবং দোকান-পাট খোলা আছে কিন্তু মানুষ গুলি যেন হঠাৎ গায়েব হ্যে গেছে। তবে অনেকে বলে থাকেন যে গ্রামের লোকজন হ্রদে কিছু অদ্ভুত আলো দেখতে পেয়ে ভয় পেয়ে গ্রামে পালিয়ে যায় কিন্তু তারা যদি সত্যিই পালিয়ে যায় তাহলে তারা গেলো কথায়? সেটা আজ রহস্য হয়ে আছে।

No comments:

Post a Comment